কোন মোবাইল ফোন কখনো কেনা উচিত নয়: একটি মোবাইল ফোন কেনা উচিত নয় যদি একটি ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয়তা পূরণ না করে থাকে। যেমন একজন ব্যবহারকারীর জন্য যদি একটি মোবাইল ফোন শুধুমাত্র ফোন করার জন্য নিশ্চিত সময়ে ব্যবহৃত হয় এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং, এপ ইনস্টল করা ও অন্যান্য সুবিধার জন্য ব্যবহৃত না হয়, তবে একটি বিশেষ ফোন কিনা উচিত নয়।
আরও একটি উদাহরণ দেওয়া যাক, একজন গেমার জন্য একটি স্মার্টফোন নিয়ে কাজ করলে সেটি উচিত নয় কারণ সেটি গেমস চালানোর জন্য যথার্থ নয়। তাকে একটি পোর্টেবল গেমিং ডিভাইস কিনা উচিত হবে। আরও একটি ব্যাপার যদি ব্যবহারকারী একটি মোবাইল ফোন কিনে ফেলেন এবং এটি দুর্দান্ত ব্যবহারক্ষমতা
হলে সেটি উচিত হয় না। মোবাইল ফোন বিনা যথার্থ ব্যবহারক্ষমতা ও পাওয়ার কারণে এর ব্যবহার অন্য সরঞ্জাম বা উপাদানের সাথে পরিণত হয়ে যেতে পারে। একটি মোবাইল ফোন কেনার সময় ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয়তা এবং উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে একটি উচিত ফোন নির্বাচন করা উচিত।
যে মোবাইল ফোনগুলি কখনো কেনা উচিত নয়
সস্তা ফোন: একটি অসামান্য সস্তা ফোন খুব বেশি দিন না চলে থাকতে পারে এবং কম কম সেবা প্রদান করতে পারে। তাই আপনি সস্তা ফোন কেনার আগে একটি ভালো পরিশীলনা করতে হবে।
পুরানো ফোন: পুরানো ফোনের সাথে কখনোই আধুনিক ফিচারগুলি না থাকে যা আপনি আপনার ফোনে চান। এছাড়াও, পুরানো ফোনের ব্যবহার সময় খুব কম হতে পারে এবং সেবা প্রদান করতে পারে না।
মধ্যম রঙের ফোন: কিছু ফোন এতটাই মধ্যম রঙের হয় যে সেগুলি আপনার সমস্ত চাহিদাকে পূরণ করতে পারে না। তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধীর হতে পারে এবং একই সমস্যার সামনে আসতে পারে।
জনপ্রিয় ফোনের অপেক্ষায়: কিছু ফোন অনেক জনপ্রিয় হতে পারে তবে তাদের মূল্য সর্বাধিক হয়। সাধারণত এসব ফোন কম ক্ষমতাসম্পন্ন এবং একই ক্ষেত্রে একই মূল্যের অন্যান্য ফোনের সাথে তুলনায় কম করা যায়।
আলোচিত ফোন: কিছু ফোন তাদের অস্তিত্ব শুরু হওয়ার পর কিছু সমস্যার সামনে আসতে পারে। এছাড়াও এগুলি সাধারণত মহান ব্যবহারকারীর স্বভাব না থাকলেও জনপ্রিয় হতে পারে।
অসাধারণ ফোন: কিছু ফোন পুরোপুরি প্রয়োজন ছাড়াই অনেক সুবিধার সাথে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রদান করতে পারে।
মোবাইল ফোন কিভাবে বুঝব ভালো নাকি খারাপ
- সঠিক চার্জার ব্যবহার করুন। আপনার ফোনের মেইনটেইনেংস এবং ব্যাটারি প্রয়োজনের মত চার্জার ব্যবহার করুন। নির্দিষ্ট সময়মত চার্জার ব্যবহার করুন এবং ফোনের ব্যাটারি পূর্ণ ভাবে চার্জ করুন।
- একটি ভাল মোবাইল সিকিউরিটি সফটওয়্যার ইনস্টল করুন। আপনার ফোনের জন্য সিকিউরিটি সফটওয়্যার ইনস্টল করা প্রয়োজন হতে পারে যেখানে আপনি আপনার ফোন এর প্রয়োজনীয় ডেটা এবং পাসওয়ার্ড রাখতে পারেন।
- নির্দিষ্ট সময়মত সফটওয়্যার আপডেট করুন। নতুন সফটওয়্যার রিলিজ হলে নির্দিষ্ট সময়ে আপনার ফোনের সফটওয়্যার আপডেট করুন।
- ব্যবহারের মধ্যে সাবধানতা অবলম্বন করুন। আপনার ফোন ব্যবহার করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন। এটি আপনার ফোনের একটি লক্ষ্যপূর্ণ কাজ, যেখানে আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ক্রিমিনাল হতে পারেন বা আপনার ফোনে ভাইরাস বা মালওয়্যার ঢুকতে পারে।
- পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন। একটি পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন যা আপনার ফোনের জন্য কঠিন এবং সুরক্ষিত। নিজের সঙ্গে এবং ইন্টারনেটে আপনার সমস্ত অ্যাকাউন্টের জন্য ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
- ফোনের সামগ্রী নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করুন। আপনার ফোনের সামগ্রী নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করুন। নিয়মিত অপসারণ করে নিজের ফোন ফ্রি রাখুন।
বর্তমানে মোবাইল ফোনের উপকারিতা
মোবাইল ফোন একটি অভিনব উপকারিতা প্রদান করে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের দিক থেকে অপরিহার্য হয়ে উঠছে। নিম্নোক্ত কিছু উপকারিতা হলোঃ
- যেখানেই থাকুন সমস্যার সাথে যোগাযোগ করা যায়: মোবাইল ফোন আপনাকে যেখানেই থাকুন যোগাযোগ করতে এবং অপারেশন করতে দেয়। আপনি স্থান বিচার করতে না হয় যে আপনি কোথায় থাকেন।
বিনামূল্যে কথা বলা: আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আপনার পরিবারের সদস্যদের এবং বন্ধুদের সাথে বিনামূল্যে কথা বলতে পারেন।
ইন্টারনেট সংযোগ ও ওয়েব ব্রাউজিং: মোবাইল ফোন সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেটে সমস্ত তথ্য এবং সেবা পাওয়া যায়। এছাড়াও, ওয়েব ব্রাউজিং করতে একটি উপযুক্ত ফোন থাকলেই যথেষ্ট।
আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সুবিধা: মোবাইল ফোন আন্তর্জাতিক যোগাযোগ করার জন্য একটি সুবিধাজনক উপায় প্রদান করে। আপনি অন্য দেশে থাকা বন্ধুদের কথা বলতে এবং মেসেজ পাঠাতে পারেন।
একটি পার্টনার হিসেবে: মোবাইল ফোন একটি পার্টনার হিসেবে কাজ করে। আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে একাধিক কাজ করতে পারেন যেমন কথা বলা, মেসেজ পাঠানো, মুভি দেখা, গান শুনা ইত্যাদি।
আইপি ক্যামেরা এবং স্ক্রিন: মোবাইল ফোনে একটি সহজে ব্যবহার করা যায় আইপি ক্যামেরা এবং স্ক্রিন। আপনি কোন সমস্যার সমাধান খুঁজতে হলে বা আপনার মনে হলে কোন ছবি তুলে রাখতে পারেন এবং স্ক্রিন রিকর্ডিং করতে পারেন।
কাজের উপযোগিতা: অনেক মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কাজ করে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেক কাজ করা যায়।
ভালো মোবাইল ফোন চেনার নিনজা টেকনিক
- স্পেসিফিকেশনস চেক করুন: যখন আপনি মোবাইল ফোন কেনার জন্য দোকানে যাবেন, স্পেসিফিকেশনস চেক করে নিন। স্পেসিফিকেশনস একটি তথ্য সেট যা ফোনের বিভিন্ন ফিচারস সম্পর্কে তথ্য দেয়। এটি ফোনের ব্র্যান্ড, মডেল, স্ক্রিন সাইজ, রেজোলিউশন, ক্যামেরা, ব্যাটারি, প্রসেসর ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য দেয়।
- ব্র্যান্ডের গুরুত্ব নিরূপণ করুন: ফোনের ব্র্যান্ডটি গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড দিয়ে ফোন কিনলে আপনি উন্নত সেবা পাবেন। বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডগুলির ফোনের বিভিন্ন ফিচারস উন্নয়নপ্রবণ হয়ে থাকে এবং আপনাকে বিভিন্ন সেবা দেয়।
- স্ক্রিন বৈশিষ্ট্য চেক করুন: স্ক্রিন ফোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। যখন আপনি একটি ফোন কেনার সময়, স্ক্রিন সাইজ, রেজোলিউশন এবং টাইপ চেক করুন। স্ক্রিনের বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার ফোনের ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা উন্নত করে তুলতে পারে।
- ক্যামেরা গুনগত মান চেক করুন: আপনি যখন ফোন কেনার জন্য হয়তো অনেক মানুষ ক্যামেরা গুনগত মানে গুরুত্ব দেয়। ক্যামেরার রেজোলিউশন এবং লেন্সের মান চেক করুন। এটি আপনার ফোনের ক্যামেরা কার্যক্ষমতা ও ফটো এবং ভিডিও কোয়ালিটি প্রভাবিত করতে পারে।
- ব্যাটারি লাইফ চেক করুন: ফোনের ব্যাটারি লাইফ আপনার ফোন ব্যবহারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ফোন ব্যবহার করতে চান যেমন গেমিং বা ভিডিও স্ট্রীমিং এবং একটি দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফের তাহলে মোবাইল ফোনের বিভিন্ন রুলস দেওয়া থাকে সেগুলো মেনে চলবেন।
